Physical Address
Karam Box Bazar
Kabirhat, Noakhali,
Bangladesh.
Physical Address
Karam Box Bazar
Kabirhat, Noakhali,
Bangladesh.
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর জনপ্রিয়তা শহর ছেড়ে গ্রামেও পৌঁছে গেছে। মানুষ এখন কোথাও স্থায়ী চাকরি না করে ঘরে বসেই অনলাইনে উপার্জনের দিকে ঝুঁকছে।
তবে দুঃখের বিষয় হলো অনেকেরই ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা না থাকার ফলে এই সম্ভাবনাময় সেক্টরে আমরা পিছিয়ে আছি এবং প্রতিনিয়ত প্রতারনার শিকার হচ্ছি।
তবে একটা সত্যিই কথা হলো এই যে আপনি নিজেকে দক্ষ করে না তুলতে পারলে এই পেশায় কিছুই করতে পারবেন না। তাই যোগ্যতা অর্জন করে তবেই ফ্রিল্যান্সিং শুরু করুন।
ফ্রিল্যান্সিং করতে কি কি লাগে? এককথায়, ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে হলে ধৈর্য, ইংলিশে ভালো দক্ষতা, কম্পিউটার বা ল্যাপটপ, কম্পিউটার চালানোর বা কাজের দক্ষতা এবং ভালো ইন্টারনেট কানেকশন থাকাটা খুব জরুরি।
আজকের এই পোস্টে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে কি কি লাগে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। এই ওয়েবসাইটে আপনি ফ্রীল্যাংসিং এবং অনলাইনে ইনকাম রিলেটেড সকল তথ্য জানতে প্রতিদিন ভিসিট করুন এবং আপনার কোনো প্রশ্ন থাকলে কমেন্টে জানান।
👉 Related: অনলাইনে অর্থ উপার্জনের ৪৬টি সেরা উপায়
👉 Related: ছাত্রদের অনলাইনে আয় করার ১৬টি উপায়
👉 Related: ফ্রিল্যান্সিং কি এবং কত প্রকার ও কি কি? (সম্পূর্ণ গাইড)
ফ্রিল্যান্সিং করে অনলাইনে ইনকাম করতে হলে ইংলিশে ভালো দক্ষতা থাকা জরুরি। কারণ আপনি যেসকল ক্লায়েন্টদের সাথে কাজ করবেন তারা প্রায় সবাই বিদেশী এবং ইংলিশে কথা বলে।
তার সাথে সঠিকভাবে যোগাযোগ করতে না পারলে আপনি শুরুতেই ঝরে যাবেন। তাই ইংলিশে যোগাযোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে এর মানে এই নয় যে আপনাকে একদম নির্ভুল ইংলিশ জানতে হবে।
আপনাকে অন্তত ক্লায়েন্টর চাহিদা বুজতে এবং তাকে বুঝাতে পারার মতো ইংরেজি জানতে হবে নাহলে দক্ষতা এবং কাজ জানা থাকা সত্ত্বেও খুব বেশি দূর এগোতে পারবেন না।
ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য ইংলিশ শিক্ষার জন্য পেইড কোর্স করতে পারেন। অথবা সবচেয়ে ভালো হয় গুগল বা ইউটিউবে বিভিন্ন ইংলিশ ভিডিও দেখে প্রাকটিস করলে।
তবে আমি রিকমেন্ড করবো ফ্রীতে শিখতে যদিও পেইড কোর্সে সবকিছু সাজানো গুছানো থাকে এবং আপনার মেন্টর নিয়মিত আপনাকে তত্ত্বাবধানে রাখে। এখন চয়েস আপনার।
👉 আরো পড়ুন: ফ্রিতে ফ্রিল্যান্সিং শেখার ৪টি উপায় (Without Money)
👉 আরো পড়ুন: ফ্রিল্যান্সিং এর সুবিধা ও অসুবিধা
ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য ল্যাপটপ বা কম্পিউটার অবশ্যই থাকতে হবে। কারন কম্পিউটার ছাড়া ফ্রিল্যান্সিং সম্ভবই নই।
অনেকে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে চায় তবে আমার জানামতে তা সম্ভব নয়।
অনেকে দাবি করেছে যে তারা মোবাইল দিয়ে ওয়েবসাইটে ব্লগ্গিং করে ইনকাম করেছে। যদি তা হয় ও, তাহলে এটি খুবই সময় সাপেক্ষ বিষয়।
ল্যাপটপে আপনি যে কাজ ১০ মিনিটে শেষ করতে পারবেন তা মোবাইলে ঘন্টার পর ঘন্টা লেগে যাবে। তবে ভালোভাবে কিছু না জেনেই কম্পিউটার কিনতে যাবেন না।
আগে কোন কাজের জন্য কোন ধরণের কম্পিউটার লাগে তা জানুন। অনেকে আছে ঋণ নিয়ে ভুল কম্পিউটার কিনে পরে ধোকা খায়।
হুট করে কম্পিউটার না কিনে সময় নিয়ে কম্পিউটার সম্বন্ধে ভালোভাবে জেনে তারপর কিনবেন।
কারণ এই প্রতারণার বাজারে অনেকেই আপনাকে নকল ল্যাপটপ বা কম্পিউটার ধরিয়ে দিতে পারে।
👉 আরো পড়ুন: সবচেয়ে সহজ ১৯ টি ফ্রিল্যান্সিং কাজ
👉 আরো পড়ুন: নতুনদের জন্য ১৬টি ফ্রিল্যান্সিং টিপস
👉 আরো পড়ুন: ১০টি সেরা ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট (নতুনদের জন্য)
কম্পিউটার তো কিনলেন তো এবার কি দিয়ে শুরু করবেন। প্রথমে বেসিক জিনিস গুলো শিখে নিন।
আমি বলবো প্রথমে মাইক্রোসফট অফিস সফটওয়ার গুলো ভালোভাবে শিখে নিন। এগুলো আপনার দক্ষতা অনেক বৃদ্ধি করবে।
এক্সেল, ওয়ার্ড, পাওয়ারপয়েন্ট, নোটপ্যাড ইত্যাদি সফটওয়্যারগুলোর বিভিন্ন ফাংশন নিয়ে ধারণা নিয়ে নিন।
কারণ আপনি যে ক্যাটেগরির ফ্রিল্যান্সিং কাজই করুন না কেন এগুলো দরকার পড়বে।
এই বিষয়গুলো অনলাইনে ফ্রীতেই শিখে পেলতে পারবেন। এ বিষয়ে অনেক ইউটিউবে অনেক ভালো ভালো টিউটোরিয়াল আছে।
তবে আপনি চাইলে কোনো কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকেও শিখে পারেন। কম্পিউটার সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকলে অন্য বিষয়গুলোও সহজ হয়ে যাবে।
👉 আরো পড়ুন: সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়ার ১৮টি উপায়
👉 আরো পড়ুন: ফ্রিল্যান্সিং ক্লায়েন্ট পাওয়ার ১০টি কৌশল
👉 আরো পড়ুন: ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসের বাইরে কাজ করার সুবিধা
টাইপিং দক্ষতা পুরো ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারের জন্য অনেক বড় একটা অর্জন। দ্রুত টাইপ করতে পারলে অনেক কাজই তাড়াতাড়ি সেরে ফেলতে পারবেন।
একত্রে ইংলিশ টাইপিং এর দিকে বেশি মনোযোগ দেওয়া ভালো। তাই অন্তত মিনিটে ৩০-৪০ শব্দ লেখার সক্ষমতা অর্জন করুন।
কন্টেন্ট রাইটিং ও প্রোগ্রামিং করতে দ্রুতগতির টাইপিং এর বিকল্প নেই।
সঠিকভাবে টাইপিং শিখতে অনলাইনে বেশ কিছু ফ্রি টুল পাওয়া যায় যেগুলো আপনার রাইটিং স্কিল কে উন্নত করবে।
ভালো ইংরেজি, কাজের দক্ষতা ও কম্পিউটার যতই থাকুক না কেন ইন্টারনেট সংযোগ যা থাকেল কোনো লাভই হবে না।
বাইরের বিশ্বের সাথে যোগাযোগের মাদ্ধম হলো ইন্টারনেট।
যেহেতু ফ্রিল্যান্সিং অনলাইন ভিত্তিক কাজ সেহেতু ইন্টারনেট কানেকশন অবশ্যই লাগবেই।
এক্ষেত্রে মোবাইল সিম দিয়ে অথবা ওয়াইফাই লাইন দিয়ে ইন্টারনেট চালাতে পারবেন।
তবে ওয়াইফাই সবচেয়ে ভালো অপসন কারণ মোবাইল সিমে প্রচুর ডাটা লাগে এবং দামও ওয়াইফাই থেকে তুলনামূলক বেশি।
গ্রামের দিকে প্রচুর ফ্রিল্যান্সার সিম ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকেন।
👉 আরো পড়ুন: ১৩টি সেরা ফ্রিল্যান্সিং পেমেন্ট মেথড
👉 আরো পড়ুন: ফ্রিল্যান্সিং এ খারাপ ক্লায়েন্ট চেনার ৯টি উপায়
👉 আরো পড়ুন: ফ্রিল্যান্সার হিসাবে ক্লায়েন্টের রিভিউ সংগ্রহ করার উপায়
ধৈর্য একটি বড় গুন যা ফ্রিল্যান্সিং হতে শুরু করে সব ক্ষেত্রেই প্রয়োজন। তবে সত্যিই কথা হচ্চে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে এটি আরও বেশি দরকারি।
ফ্রিল্যান্সিং শুরু করলেই ইনকাম চলে আসে না আবার সব মাসে ইনকাম সমান হয় না। কোনো মাসে কম, কোনো মাসে বেশি, আবার কোনো মাসে একদমই ইনকাম হয় না।
একটি ভালো ক্যারিয়ার গড়তে হলে এখানে আপনাকে বেশ সময় দিতে হবে। ধীরে ধীরে নিজের দক্ষতা, পোর্টফোলিও, কমিউনিকেশন বৃদ্ধি করতে হবে।
প্রথম দিকে কাজ পাওয়া কঠিন হতে পারে। এসময় অনেকেই ধৈর্য হারিয়ে ফ্রিল্যান্সিং ছেড়ে দেন। তবে ধৈর্য রাখাটা বেশ জরুরি।
একটু সময় দিয়ে দক্ষতার সাথে কাজ করলে এবং একবার পরিচিতি পেয়ে গেলে কাজ পাওয়া অনেকটাই সহজ হয়ে যায়।
নতুন হিসেবে কাজ পাওয়া কিছুটা কষ্টকর। সামান্য হতাশাও আপনার ক্যারিয়ারকে নষ্ট করে দিতে পারে।
সুতরাং ধৈর্য ধরে লেগে থাকুন এবং ক্লাইন্টের সাথে ভালো রিলেশন তৈরী করুন।
আপনার বায়ারকে সন্তুষ্ট করে ভালো রিভিউ সংগ্রহ করে ধীরে ধীরে আপনার প্রোফাইল তৈরি করতে পারলে ক্লায়েন্টের অভাব হবে না।
তাই ধৈর্য ধরে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করুন। কিভাবে সহজে ফ্রিল্যান্সিং ক্লায়েন্ট পাবেন সে বিষয়ে পরে কোনো পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ।
👉 আরো পড়ুন: ফ্রিল্যান্সিং ব্যবসা প্রসারিত করার ৪টি উপায়
👉 আরো পড়ুন: ফ্রিল্যান্সিং এ রেফারেল পাওয়ার ৬টি উপায়
👉 আরো পড়ুন: ফ্রিল্যান্সারদের জন্য ১৫টি প্রোডাক্টিভিটি টিপস
👉 আরো পড়ুন: প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্সাদের মতো দরকষাকষি করার ৬টি টিপস
👉 আরো পড়ুন: সফল ফ্রিল্যান্সারদের জন্য ১৪টি সেরা টুলস
👉 আরো পড়ুন: ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সেরা সময় ট্র্যাকিং অ্যাপ